,

‘টাকার বিনিময়ে’ টিসিবির কার্ড

রংপুর ব্যুরো: রংপুর গঙ্গাচড়ায় টিসিবির পণ্যের কার্ড প্রদানে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়ন পরিষদের কর আদায়ের নামে এ অর্থ নেওয়া হচ্ছে।

এ ঘটনায় কোলকোন্দ ইউনিয়নের ৫ ব্যক্তি জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন।

স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে কার্ডের মাধ্যমে সরকার ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু করেছে। তিস্তা নদীবেষ্টিত গঙ্গাচড়া উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে এ কার্ড প্রদানের সময় কর আদায়ের নামে ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের বিরুদ্ধে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

কোলকোন্দ ইউনিয়নের দক্ষিণ কোলকোন্দ গ্রামের এক নারী (নিরাপত্তার জন্য তার নাম প্রকাশ করা হলো না) বলেন, টিসিবির কার্ড আনতে গেলে তার কাছ থেকে চেয়ারম্যান ২০০ টাকা নিয়েছেন। তারা বলেছে, এটা ট্যাক্সের টাকা। সেই টাকার একটা রসিদও দিয়েছে। সরকার গরিব মানুষকে তেল, চিনি দেবে। সেই কার্ডের জন্যও টাকা নেয় তারা!

বড়বিল ইউনিয়নের নাছরিন বেগম বলেন, ‘মোর কাছ থ্যাকি ১০০ টাকা নেছে। টাকা নেওয়ার রসিদও দেছে।’ আরও কয়েক নারী একই তথ্য দেন। এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহীদ চৌধুরী বলেন, রাজস্ব আদায়ের জন্য ইউনিয়নবাসীদের কাছ থেকে ট্যাপের টাকা নেওয়া হচ্ছে। টিসিবির কার্ড প্রদানের জন্য কোনো টাকা আদায় করা হচ্ছে না। এ নিয়ে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা অপপ্রচার চালাচ্ছে।’

কোলকোন্দ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার মিজানুর রহমান বলেন, চেয়ারম্যানের নির্দেশে সব মেম্বার চৌকিদারি ট্যাক্স হিসেবে কার্ডপ্রতি ২০০ টাকা করে তুলেছেন। রসিদ দিয়ে সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে টাকা তোলা হয়েছে এবং পরবর্তীতে চেয়ারম্যানকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তবে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ বলেন, তারা ট্যাপের টাকা আলাদাভাবে আদায় করেন। টিসিবির সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। বেতগাড়ির চেয়ারম্যান মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, তারা টাকা নিয়েছেন। যার সামর্থ্য আছে তারা দিয়েছে, যার নেই তারা দেয়নি।

গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদ উদ্দিন বলেন, টিসিবি কার্ড প্রদানের সময় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চৌকিদারি ট্যাক্স আদায়ের বিষয়ে চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে। তবে এ নিয়ে তার কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

এই বিভাগের আরও খবর